Wednesday, March 5, 2025

 ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত ও নন সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা

__🇦🇩🇪🇺


ইউরোপে পড়াশোনা, ভ্রমণ বা কাজের জন্য যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? তাহলে আপনাকে সেনজেন এবং নন সেনজেন দেশের মধ্যে পার্থক্য এবং সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। সেনজেন দেশগুলি প্রধানত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য এবং অনেক সুবিধা প্রদান করে, যা নন সেনজেন দেশগুলিতে পাওয়া যায় না। এই নিবন্ধে আমরা সেনজেন ও নন সেনজেন দেশগুলির তালিকা এবং তাদের সুযোগ সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।


সেনজেন ভুক্ত ও নন সেনজেন ভুক্ত দেশ বলতে কী বোঝায়?


ইউরোপ একটি জটিল মহাদেশ, যেখানে বহু দেশের ভৌগোলিক, রাজনৈতিক, ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রয়েছে। ইউরোপের মধ্যে ভ্রমণের জন্য বিশেষ কিছু অঞ্চল আছে যেগুলো সেনজেন চুক্তির আওতায় পড়ে। সেনজেন চুক্তি ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সীমান্ত পারাপারকে সহজ ও মুক্ত করেছে। এই চুক্তির ফলে সেনজেন ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভ্রমণ করার জন্য আলাদা ভিসার প্রয়োজন হয় না। অন্যদিকে, নন সেনজেন দেশগুলোর জন্য আলাদা ভিসা নিয়মাবলী প্রযোজ্য।


সেনজেন ভিসাঃ সেনজেন ভিসা হল একটি অভিন্ন ভিসা পদ্ধতি, যা সেনজেন এলাকা অন্তর্ভুক্ত ২৯টি দেশের মধ্যে সীমান্তহীন ভ্রমণ সুবিধা প্রদান করে। সেনজেন ভিসা প্রাপ্তির মাধ্যমে একজন ভ্রমণকারী একাধিক সেনজেনভুক্ত দেশে ভ্রমণ করতে পারেন। এটি ইউরোপের ভ্রমণকারীদের জন্য একটি বিশাল সুবিধা, কারণ একবার ভিসা প্রাপ্তির পর পুনরায় ভিসার জন্য আবেদন করার প্রয়োজন হয় না।


নন-সেনজেন দেশঃ নন-সেনজেন দেশ বলতে বোঝায় সেনজেনভুক্ত নয় এমন দেশসমূহ। এমন দেশ রয়েছে ২২টি, যাদের নিজস্ব আলাদা ভিসা নীতি রয়েছে। এই দেশগুলোতে ভ্রমণের জন্য আলাদা ভিসার প্রয়োজন হয় এবং এক দেশের ভিসা অন্য কোন দেশে ভ্রমণের অনুমতি দেয় না। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাজ্য বা আয়ারল্যান্ডের মতো দেশগুলি সেনজেন এলাকায় অন্তর্ভুক্ত নয়, তাই তাদের জন্য ভিন্ন ভিসার প্রয়োজন হয়।


সেনজেন চুক্তি ১৯৮৫ সালে একটি ছোট্ট লুক্সেমবার্গ শহর সেনজেনে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তি ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণকে সরিয়ে দিয়ে একটি একক ভ্রমণ এলাকা তৈরি করেছে। সেনজেন অঞ্চলে ভ্রমণকারীরা একবার একটি সেনজেন ভিসা পেলেই পুরো অঞ্চলে অবাধে ভ্রমণ করতে পারেন। এই চুক্তি বর্তমানে ইউরোপের অনেক দেশে প্রযোজ্য।


সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা-

বর্তমানে সেনজেন অঞ্চলে ২৯টি দেশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই দেশগুলো হলো:


অস্ট্রিয়া

বেলজিয়াম

চেক প্রজাতন্ত্র

ডেনমার্ক

এস্তোনিয়া

ফিনল্যান্ড

ফ্রান্স

জার্মানি

গ্রিস

হাঙ্গেরি

আইসল্যান্ড

ইটালি

লাটভিয়া

লিথুয়ানিয়া

লুক্সেমবার্গ

মাল্টা

নেদারল্যান্ডস

নরওয়ে

পোল্যান্ড

পর্তুগাল

স্লোভাকিয়া

স্লোভেনিয়া

স্পেন

সুইডেন

সুইজারল্যান্ড

লিচেনস্টাইন

ক্রোয়েশিয়া

রোমানিয়া 

বুলগেরিয়া 


এই দেশগুলো সেনজেন চুক্তির আওতায় সীমান্ত পারাপার নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়েছে। এর ফলে এই দেশগুলোর মধ্যে ভ্রমণ সহজতর হয়েছে এবং পর্যটন ও ব্যবসার ক্ষেত্রে ব্যাপক সুবিধা অর্জিত হয়েছে।


সেনজেন দেশের সুবিধা:

সেনজেনভুক্ত দেশের অনেক সুবিধা রয়েছে। এখানে উল্লেখযোগ্য কিছু সুবিধা আলোচনা করা হলো:


১. এক ভিসায় ২৯ দেশ ভ্রমণঃ সেনজেন ভিসা থাকলে আপনি ২৭টি সেনজেনভুক্ত দেশে ৯০ দিন পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবেন। এটি ভ্রমণকারীদের জন্য একটি বিশাল সুবিধা, কারণ একবার ভিসা পেলেই তারা বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করতে পারেন।


২. সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে ঝামেলা কমঃ একবার সেনজেন ভিসা পেলে, আপনি সেনজেন এলাকার মধ্যে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে পারবেন কোনো পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই। এটি আপনাকে একটি মুক্ত ভ্রমণের অভিজ্ঞতা প্রদান করে।


৩. দীর্ঘসময় ভ্রমণের সুযোগঃ সেনজেন ভিসা ৯০ দিনের জন্য বৈধ, যা দীর্ঘসময় ভ্রমণের জন্য যথেষ্ট। এটি আপনাকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখার এবং স্থানীয় সংস্কৃতি উপভোগ করার সুযোগ দেয়।


৪. কাজের সুযোগঃ সেনজেন ভিসা থাকলে আপনি সেনজেনভুক্ত যেকোনো দেশে কাজ করতে পারবেন। এতে আপনাকে কাজের জন্য আলাদা আলাদা ভিসা নিতে হবে না।


৫. শিক্ষার সুযোগঃ সেনজেন ভিসা থাকলে আপনি সেনজেন এলাকার যেকোনো দেশে পড়াশোনা করতে পারবেন। এতে আপনি বিভিন্ন দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন।


৬. বসবাসের সুযোগঃ সেনজেন ভিসা থাকলে আপনি সেনজেনভুক্ত এলাকার যেকোনো দেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এতে আপনাকে নতুন স্থানে নতুন জীবন শুরু করার সুযোগ দেয়।


৭. স্বাস্থ্যসেবাঃ সেনজেন ভিসা থাকলে আপনি সেনজেনভুক্ত যেকোনো দেশে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। এটি আপনাকে অসুস্থতার সময় দ্রুত ও কার্যকর চিকিৎসা সেবা পেতে সহায়তা করে।


সেনজেন চুক্তির বাইরের দেশসমূহ:

ইউরোপের অনেক দেশ সেনজেন চুক্তির আওতায় নেই। এই দেশগুলোতে ভ্রমণের জন্য আলাদা ভিসার প্রয়োজন হয় এবং সীমান্তে কড়া নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকে। সেনজেন চুক্তির বাইরের দেশগুলো হলো:


ইউরোপের ২১টি নন-শেনজেন ভুক্ত দেশগুলি হল:


আলবানিয়া

আর্মেনিয়া

আজারবাইজান

বেলারুশ

বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা

সাইপ্রাস

জর্জিয়া

আয়ারল্যান্ড

কোসোভো

মলদোভা

মন্টেনেগ্রো

উত্তর মেসিডোনিয়া

রাশিয়া

সার্বিয়া

তুরস্ক

ইউক্রেন

যুক্তরাজ্য

আন্ডোরা

সান মারিনো

মোনাকো

ভ্যাটিকান সিটি


এই দেশগুলোর জন্য আলাদা ভিসার প্রয়োজন হয় এবং ভ্রমণের সময় সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি মেনে চলতে হয়।


শেষ কথা

সেনজেন এবং নন-সেনজেন দেশগুলোর মধ্যে এই পার্থক্যগুলো মাথায় রেখে আপনি আপনার ভ্রমণ, পড়াশোনা বা কাজের পরিকল্পনা করতে পারেন। ইউরোপের যেকোনো দেশে যাওয়ার পূর্বে এই তথ্যগুলো জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Thursday, November 7, 2024


 স্যাট নিয়ে যত জিজ্ঞাসা


বিদেশে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে যাঁরা পড়তে যেতে আগ্রহী, স্যাট (SAT) তাঁদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা। এ পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়ার প্রস্তুতি যাচাই করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের সঙ্গে স্যাট স্কোর জমা দিতে হয়। এ ছাড়া শিক্ষাবৃত্তি পাওয়ার জন্য স্যাট পরীক্ষার স্কোর বেশ কাজে দেয়। স্যাট নিয়ে আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন স্যাটে ১৪০০ স্কোরধারী আয়শা সিদ্দিকা।


প্রশ্ন: স্যাট কী, কেন দেবেন?

উত্তর: স্যাট (SAT = Scholastic Assessment Test)। বিদেশে স্নাতক পড়তে যাওয়ার জন্য স্যাট দিতে হয়। কেবল ভর্তির বিজ্ঞপ্তিতে বলা থাকলেই তখন স্যাট স্কোর জমা দিতে হবে। স্কলারশিপ পাওয়ার জন্যও স্যাট স্কোর গুরুত্বপূর্ণ।


প্রশ্ন: কোথায়, কখন স্যাট টেস্ট হয়?

উত্তর: বাংলাদেশে ৫টি জায়গায় স্যাট পরীক্ষা হয়ে থাকে। এর মধ্যে ৪টি রাজধানী ঢাকায় এবং ১টি চট্টগ্রামে অবস্থিত। সাধারণত মার্চ, মে, আগস্ট, অক্টোবর এবং ডিসেম্বরে স্যাট পরীক্ষা হয়ে থাকে।


প্রশ্ন: স্যাট দেওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও বয়স কী?

উত্তর: সাধারণত যাঁরা বিদেশে স্নাতক পড়তে চান, তাঁদেরকেই এই পরীক্ষাটা দিতে হয়। সে ক্ষেত্রে আপনি এসএসসির পর বা উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষে থাকা অবস্থাতেই স্যাট দিতে পারবেন। The Great Bangladesh 


প্রশ্ন: স্যাটে কটি দক্ষতা যাচাই করা হয় এবং কী কী?

উত্তর: মূলত ২টি জিনিস যাচাই করা হয়। ইংরেজি ও গণিত। এর মধ্যে ইংরেজিতে রিডিং ও রাইটিং অংশ থাকে। রিডিংয়ে ৫-৬টা প্যাসেজ থাকে, যা পড়ে ছোট ছোট এমসিকিউর উত্তর দিতে হয়। রাইটিংয়েও প্যাসেজ থাকে, সেখান থেকে গ্রামার ও ইনফরমেশন বেইজড প্রশ্ন থাকে। গণিতে ক্যালকুলেটর ও নন-ক্যালকুলেটর সেকশন আছে। এক জায়গায় এমসিকিউ থাকে, আরেক জায়গায় গ্রিড ইন প্রশ্ন থাকে।


প্রশ্ন: একজন শিক্ষার্থী কবার স্যাট দিতে পারবেন?

উত্তর: যতবার ইচ্ছে ততবার। তবে স্যাট বেশ খরুচে একটা পরীক্ষা। তাই প্রথমবারই ভালোমতো প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দেয়া উচিত।


প্রশ্ন: স্যাট কোন বিভাগের জন্য প্রযোজ্য?

উত্তর: স্যাট সায়েন্স, কমার্স ও আর্টসের সবাই দিতে পারেন। স্যাটের বিকল্প এসিটি স্কোর অনেক জায়গায় গ্রহণ করা হয়। এটাও অনেকটা স্যাটের মতোই।


প্রশ্ন: কোন কোন দেশ স্যাট স্কোর নেয়?

উত্তর: যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াসহ আরও অনেক দেশ স্যাট স্কোর গ্রহণ করে। বিশেষ করে স্কলারশিপের জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা মানদণ্ড।


প্রশ্ন: হাতঘড়ি ও ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যায় কি?

উত্তর: এটা টেস্ট সেন্টারের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত অ্যানালগ ঘড়ি ব্যবহার করা যায়। কোনো ধরনের স্মার্টওয়াচ, অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করা যাবে না। আর কোন মডেলের ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে তা প্রতিনিয়ত স্যাটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা হয়। তাই পরীক্ষা দেওয়ার আগে সেখানে চোখ বুলিয়ে নিতে হবে।


প্রশ্ন: ফলাফল পেতে কত সময় লাগে?

উত্তর: স্যাটের ফলাফল দিতে সাধারণত এক মাসের মতো সময় লাগে।


প্রশ্ন: কেউ যদি দুবার পরীক্ষা দেয়, সে ক্ষেত্রে কোন স্কোর গণ্য করা হবে?

উত্তর: আপনি যতবার ইচ্ছে ততবার পরীক্ষা দিতে পারবেন। আর কোন স্কোরটা জমা দেবেন সেটা আপনার ওপরই নির্ভর করবে। অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি যেবার স্কোর করেছেন, সেটাই পাঠাতে পারবেন।


প্রশ্ন: স্যাটে কীভাবে স্কোর নির্ধারণ করা হয়?

উত্তর: স্যাটে স্কিলবেজড নাম্বারিং করা হয়। একেক প্রশ্নে একেক ধরনের নম্বর থাকে। যেহেতু প্রতিটা প্রশ্নেরই সাব-ক্যাটাগরি রয়েছে। সব প্রশ্নে বরাদ্দকৃত নম্বর এক না।


প্রশ্ন: বিভিন্ন কলেজে আবেদন করার জন্য ন্যূনতম কত স্যাট স্কোর প্রয়োজন?

উত্তর: প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয় ন্যূনতম একটা স্কোর দিয়ে দেয়। সাধারণত প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল ফান্ডেড বা ৯০ শতাংশ স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে চাইলে ১৫০০-এর বেশি স্কোর থাকতে হবে। এ ছাড়া অনেক ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয় ১৪০০-এর বেশি স্কোর গ্রহণ করে। ১৩০০ দিয়েও আপনি ভালো জায়গায় ভর্তি হতে পারবেন। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নির্ভর করে।


প্রশ্ন: স্যাটে কোনো বিরতি আছে?

উত্তর: স্যাটের প্রতিটা সেকশনের পরে একটা বিরতি দেয়। এর মাঝে আপনি চাইলে অন্য রুমে বসে খাবার খেতে পারবেন। তবে টেস্ট সেন্টার থেকে আগেই এসব প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে নেবেন। কারও যদি কিছু প্রয়োজন হয়, তা যেন ইনভিজিলেটরকে আগেই জানানো হয় ৷


প্রশ্ন: কলম ব্যবহার করা যাবে?

উত্তর: না, শুধু পেনসিল ব্যবহার করতে পারবেন।


প্রশ্ন: স্যাটের আবেদন ফি কত?

উত্তর: সব মিলিয়ে প্রায় ১০১ ডলার। তবে এটা যেহেতু প্রায়শই হালনাগাদ করা হয়, তাই ওয়েবসাইট থেকে সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।


প্রশ্ন: কীভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে?

উত্তর: এর জন্য প্রথমেই স্যাটের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে কলেজ বোর্ড অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তারপর নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। পরীক্ষার কমপক্ষে এক মাস আগে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। রেজিস্ট্রেশনের জন্য যা যা প্রয়োজন:


পাসপোর্ট

পিপি ছবির ডিজিটাল কপি

পাসপোর্ট ছাড়া অন্য কোনো ধরনের শনাক্তকারী পরিচয়পত্র গ্রহণযোগ্য হবে না।

স্যাটের রেজিস্ট্রেশন করার পর প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে একটি করে অ্যাডমিশন টিকিট দেওয়া হবে। এটা পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন করার প্রমাণপত্র। রেজিস্ট্রেশনের পেমেন্ট সম্পন্ন করার পর একটা নতুন পেজ আসবে। এই পেজটি-ই অ্যাডমিশন টিকিট। টিকিটটি প্রিন্ট করে নিতে হবে। অ্যাডমিশন টিকিটের মধ্যে যা যা থাকবে–


শিক্ষার্থীর ছবি

শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য

পরীক্ষার দিন, সময় ও কেন্দ্র

শিক্ষার্থীর জন্য নোট

সুপারভাইজারের দিকনির্দেশনা

পরীক্ষার দিন পরীক্ষার্থীকে প্রয়োজনীয় আরও কী কী নিয়ে যেতে হবে তাও বলা থাকবে প্রবেশপত্রে।


প্রশ্ন: কী কী বই পড়ব?

উত্তর: অফিশিয়াল স্যাট স্টাডি গাইড, ব্যারন’স, প্রিন্সটন রিভিউ, কাপলান, গ্রুবার’স, ম্যাকগ্র-হিল ইত্যাদি বইয়ের সাহায্য নিয়ে স্যাট পরীক্ষার জন্য নিজেকে তৈরি করা যায়।


শিক্ষামূলক বা বাস্তবিক জ্ঞানের পোস্ট ও ভিডিও পেতে Shakil Sir  || ইংরেজি শিখতে Alada English  পেজ ফলো করুন এবং  নোটিফিকেশন পেতে বা অন্যকেও জানাতে এই পোস্টটিতে রিয়াক্ট,কমেন্ট ও শেয়ার করুন।


অনুলিখন: মুসাররাত আবির

সোর্স আজকের পত্রিকা


#স্যাট  #Sat

Wednesday, November 6, 2024


বিদেশে যাওয়ার সময় যাত্রাপথে করনীয় কাজ সমূহ


🧳করনীয় কাজ সমূহ


- বিদেশে যাওয়ার পথে যা যা নিতে হবে তার একটি তালিকা তৈরি করুন।


- যে ব্যাগটি বিমানে নিজের সাথে রাখবেন সেখানে টাকা-পয়সা, গহনা, ভ্রমন ও চাকুরী সংক্রান্ত কাগজপত্র রাখুন এবং যে ব্যাগটি বিমানের লকারে দিবেন, সেটির ওজন পরীক্ষা করবেন এবং ২০ কেজির মধ্যে ওজন রাখবেন ।


- ব্যাগটি দড়ি বা প্যাকিং টেপ দিয়ে শক্ত করে বেধে নিতে হবে, যাতে যাত্রাকালীন সময়ে ব্যাগ ছিঁড়ে না যায়। ভ্রমণের জন্য হালকা কিন্তু শক্ত উপাদান দিয়ে তৈরি এবং ভাল তালার ব্যবস্থাসহ ব্যাগ কিনবেন ।


- প্রতিটি ব্যাগে নাম, ঠিকানা ও ফোন নাম্বার লিখেবেন।


- কখনোই ধারালো বস্তু, যেমন- বেড, কাঁচি, ছুরি ইত্যাদি সিকিউরিটি চেকের সময় ধরা পড়ে এবং ফেলে দেয়া হয়। তাই নিষিদ্ধ কোনো জিনিস যেমন- আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকজাতীয় পর্দাথ, নিষিদ্ধ মাদক ও ড্রাগ, আগুন ধরে এমন তরল পর্দাথ (লাইটার), দুর্গদ্ধ বের হয় এমন পদার্থ, মাংস, দুধ, ডিম ও অন্যান্য পোল্ট্রিজাতীয় খাবার , ফুল, ফল, সবজি, পান, গুল, সাদাপাতা ইত্যাদি ব্যাগে নিবেন না। এছাড়াও প্লেন ও এয়ারপোর্টে ধূমপান এবং প্লেনে মোবাইল ফোন ও ট্রানজিষ্টার রেডিও ব্যবহার করা নিষেধ।


- অপরিচিত ব্যক্তির দেয়া কোন জিনিসই বহন করবেন না ।


👮‍♂️ইমিগ্রেশন


-কাউন্টারে প্রার্থীর পাসপোর্ট, ভিসা, জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্র ইত্যাদি পরীক্ষা করে সঠিক থাকলে তবেই পাসপোর্ট সিলমোহর করে প্রার্থীকে ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়া হয় এবং সেখানে বিমানে আরোহণের পূর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ইমিগ্রেশনের সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়ান এবং আপনার পাসর্পোট, ভিসা, ইমিগ্রেশন ও কাষ্টমস ফরমসহ তৈরী থাকুন। অফিসার আপনার সপোর্টে ওই দেশে যাওয়ার তারিখসহ সিল দিয়ে দিবে।


✈️ বিমানে যা করবেন


- বিমানে আরোহণের পূর্বে ইংরেজি ও বাংলায় মাইক্রোফোনে ঘোষনা করা হবে এবং ডিসপ্লে বোর্ড ও টেলিভিশন মনিটরে দেখানো হবে।


- ঘোষণার পরই বোর্ডিং-কার্ড হাতে নিয়ে বিমানের দিকে অগ্রসর হতে হয়।


🍁বিদেশে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে করনীয়


বিদেশে পোঁছানোর পর বিমানবন্দরে বেশ কিছু কাজ থাকে, যেগুলো সম্পর্কে ঠিক মত জানা না থাকলে হতে হয় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন। তাই জেনে নিন, বিদেশে পোঁছানোর পর বিমানবন্দরে করণীয় কাজ গুলো-


১) ব্যাগ সংগ্রহ


ব্যাগ সংগ্রহের জন্য কনভেয়ার বেল্টের সামনে দাঁড়াতে হবে। কনভেয়ার বেল্টের ওপর আপনার ফ্লাইট নাম্বার দেয়া থাকবে, সেটা খেয়াল করতে হবে।


২) কাষ্টমস


আপনার কাষ্টমস ডিক্লারেশন ফরম সাথে রাখুন এবং কাষ্টমস অফিসার চাইলে তা দেখান।


৩) হারানো ব্যাগ খোঁজা


বেল্টে ব্যাগ না পাওয়া গেলে বা ব্যাগ হারিয়ে গেলে সাথে সাথে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে এবং ক্লেইম ফরম পূরণ করতে হবে। প্রয়োজনে তথ্যকেন্দ্রের সহায়তা নিতে পারেবেন। এয়ারলাইন্স আপনার ব্যাগ খুঁজে আপনার ঠিকানায় যোগাযোগ করে আপনার হারানো ব্যাগ আপনার কাছে পৌছে দিবে। না পাওয়া গেলে টিকেটে উল্লিখিত নীতিমালা অনুযায়ী আপনাকে ক্ষতিপূরণ দিবে।


#copied

 ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত ও নন সেনজেন ভুক্ত দেশের তালিকা __🇦🇩🇪🇺 ইউরোপে পড়াশোনা, ভ্রমণ বা কাজের জন্য যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন? তাহলে আপনাকে সে...